অন্তাহার স্কুল নির্মাণ নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ
প্রকাশের সময় :
শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
৮২
বার পঠিত
অন্তাহার স্কুল নির্মাণ নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ
সান্তাহার প্রতিনিধি(আদমদীঘি): আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের অন্তাহার গ্রামে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রকাশিত সংবাদে যা ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে। গত বছর ৫ই নভেম্বর অন্তাহার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্থানিয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) বাস্তবায়নে মোঃ সোহেল হোসেন ১ কোটি ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজটি শুরু করেন। এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী আগস্ট মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারন করা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে সরজমিন দেখা গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫% কাজ সম্পূর্ণ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাতে কাজ করার যে অভিযোগ করেছেন সেটি একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। চলমান ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে বন্ধ রাখলে ছাদে জোড়ার সৃষ্টি হয় তাই কাজ সম্পূর্ণ করতে রাত হয়েছে বলে আমাদের জানান ঠিকাদার মোঃ সোহেল। তিনি আরো বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে শ্যাওলা ধরাটা স্বাভাবিক, তাঁরমানে পরিচালনা কমিটির সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এটি ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের জানান, নিম্ন মানেন সামগ্রী ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই, কাজের সময় একজন জুনিয়র সুপারভিশন অফিসার এবং একজন সুপারভিশন ইন্জিনিয়ার উপস্থিত থাকেন। দুজন উপসহকারি ও দুজন ওয়ার্ক এসিস্টেন্ট সর্বদা সাইড পরিদর্শন করেন। এছাড়াও আমি নিজে বেশ কয়েকবার ভবন পরিদর্শন করে স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি এবং অনিয়ম হলে আমাকে জানাতে বলেছি। তাঁরা আমাকে কোন অভিযোগ না করে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়েছে। সাংবাদিক আমার সঙ্গে সরাসরি কথা না বলেই ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত। বালু, পাথর নিয়মিত টেস্ট করে সিলিন্ডার তৈরী করা হয়, এখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। সংবাদ প্রকাশের পর নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তক মোছাঃ রুমানা আফরোজ। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, আমি যদিও এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নয়, তবে কিছু ইট আমি পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছি এবং উপজেলা ইন্জিনিয়ারকে আরো সচেষ্ট থাকার জন্য বলেছি।